Kumar Sanu: কুমার শানু (জন্ম নাম কেদারনাথ ভট্টাচার্য) কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি (Kumar Sanu)। ভারতের একজন উল্লেখযোগ্য বলিউড গায়ক। তিনি সেরা নেপথ্য পুরুষ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান পর পর পাঁচ বার। তাকে ভারত সরকার ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী তে সম্মানিত করে। ১৯৯০ এর ছবি আশিকি এর জন্য সংগীত পরিচালক নদীম-শ্রবন খুজে পান কুমার শানুকে গান গাওয়ার জন্য।
যার মধ্যে আছে “এক সনম চাহিয়ে”, “তু মেরি জিন্দেগি হে”, “nazar কে সামনে”, “জানে জিগার জানেমান”, “আব তেরে বিন জিলেংগে হাম” এবং “ধিরে ধিরে সে”। তিনি পর পর পাঁচবার পুরুষ গায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড জিতে রেকর্ড গড়েছেন। তার পরবর্তী পুরস্কার এসেছে হিন্দি ছবি সাজান (১৯৯১), দিওয়ানা (১৯৯২), বাজিগর (১৯৯৩) এবং ১৯৪২: এ লাভ স্টোরি (১৯৯৪) থেকে।
তাদের কিছু সহযোগিতা মূলক গানের ছবি গুলো হলো আশিকি (১৯৯০), দিল হে কি মানতা নেহি (১৯৯১), সড়ক (১৯৯১), সাজান (১৯৯১), দিওয়ানা (১৯৯২), দিল কা কিয়া কাসুর (১৯৯২), কাল কা আওয়াজ’ (১৯৯২), শ্রীমান আশিকি (১৯৯৩), সলামী (১৯৯৩), দামিনী (১৯৯৩), দিলওয়ালে (১৯৯৪), অগ্নি সাক্ষী (১৯৯৬), রাজা হিন্দুসস্থানী (১৯৯৬), জীত (১৯৯৬), পরদেশ (১৯৯৭) ইত্যাদি।
বলিউডে একের পর এক হিট গান তার। আজও গানপ্রেমীদের গলায় শোনা যায় তার গাওয়া গান। এমনকি তার গাওয়া সেসব গান রিমেক হচ্ছে আজকাল।একসময় যিনি গান গেয়ে বলিউড কাঁপিয়েছেন, সেই বলিউডে আজ আর তার কদর নেই। বহু বছর ধরেই কোনো বলিউডের ছবিতে তাকে গানের সুযোগ দেওয়া হয় না কিন্তু কেন? সদ্য এক সাক্ষাৎকারে সেই নিয়েই মুখ খুললেন কুমার শানু।
গায়ক আক্ষেপের সুরে জান “ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই আমাকে খুব সম্মান করেন, ভালবাসেন। আমার গাওয়া সব গান আজও শোনেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকে। তবে জানি না কেন আমাকে দিয়ে তাঁরা আর গান গাওয়ান না। দেখুন, আমার মনে যে এই প্রশ্ন কোনওদিন জাগেনি এমনটা নয়। যেখানে আমার গান সবাই আনন্দ করে শুনছে আজও, আমাকে ভালোবাসছে তবু আমাকে গান গাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না যেখানে তাঁদের সামনে আমি ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছি”।
তিনি আরও বলেন, “আমি তো গাইতে পারি তাহলে আমাকে দিয়ে কেন ছবিতে প্লেব্যাক করানো হচ্ছে না? জানি না ইন্ডাস্ট্রির বাসিন্দাদের ভাবনায় আমার কথা আসে না কেন? আজও যে অনুষ্ঠানে গান গাইতে যাই, প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ থাকে। একটি দর্শকাসনও খালি থাকে না। দেশে-বিদেশে যেখানেই অনুষ্ঠান হোক না কেন। তাহলে এর থেকে পরিষ্কার মানুষ আজও আমার গান শুনতে চান। আমার গানের শ্রোতারা আজও বর্তমান। এই কথাটা ইন্ডাস্ট্রির লোকজন বুঝতে পারলে ভাল নইলে তাঁদের দুর্ভাগ্য।”