পাশাপাশি বাড়ি দুজনের! সৌরভ ও ডোনার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প

এখনকার দিনের মতো সেই সব দিনে এলইডি টিভি, ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন কিছুই ছিল না। তখনকার দিনে সৌরভ আর ডোনার প্রেম কাহিনী ছিল একদম সিনেমার মতো ব্যাপার। তাদের বাড়ি ছিল একদম পাশপাশি। একবাড়ির লোক কথা বললে ওপর বাড়ির লোক শুনতে পেত। তাদের বাড়ি ছিল কলকাতাতে।

ছোটবেলায় ডোনা এবং সৌরভ একসাথে তাঁদের বড় হয়ে ওঠেন। তারা একসাথে খেলাধুলাও করতেন। বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় ডোনাকে দেখে তিনি জামার আকলাটটাকে একটু তুলে কোনো কারণ ছাড়াই একটু হাসতেন। ডোনাও সেখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সৌরভের খেলা দেখতেন। তারুণ বয়সে তাদের হৃদয় দেওয়া – নেওয়া হয়ে যায়। ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে তিনি সারাবিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তারপর কলকাতার এক নামকরা রেস্তোরাঁয় তাঁরা প্রথম ডেটে গিয়ে সৌরভ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। তার নড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত থাকে না।

Image 152, পাশাপাশি বাড়ি দুজনের! সৌরভ ও ডোনার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প, পাশাপাশি বাড়ি দুজনের! সৌরভ ও ডোনার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প

ডোনার সবথেকে বেশি ভয় ছিল ডোনার বাবার পছন্দ ছিল না তাদের বাড়ীর লোকেদের। তারা যদিও একবার ভেবেছিলেন যে তাঁদের রেজিস্ট্রিটা সেরে রাখবেন। কিন্তু ব্যাপারটা তা জানাজানি হলে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে যাবে এই ভয়ে তারা এগোননি। কিন্তু সৌরভ তার বাবাকে ভয়েভয়ে ব্যাপারটা জানান এবং বাবা বলেন যে তাকে ক্রিকেটের উপর বেশি করে মনোযোগ দিতে আর ওই ব্যাপারটা তার উপর ছেরে দিতে বলেন।

Image 153, পাশাপাশি বাড়ি দুজনের! সৌরভ ও ডোনার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প, পাশাপাশি বাড়ি দুজনের! সৌরভ ও ডোনার প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প

সৌরভের বাবা ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করেন ডোনার বাবার সাথে। ডোনার বাবা এতে রাজী হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৭ এর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এখন সৌরভ হলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আর তার স্ত্রী ডোনা হলেন একজন ভালো নৃত্যশিল্পী।