মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bengali film industry) জনপ্রিয় তারকা। নিজ প্রতিভার দ্বারা দর্শকদের মনে চিরস্থায়ী জায়গায় তৈরি করে নিয়েছিলেন তিনি। তাৎক্ষণিক অর্থে কোনো গডফাদার ছিল না ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তাও নিজ যোগ্যতায় নিজের নাম উজ্জ্বল করেছেন মিমি চক্রবর্তী। এই অভিনেত্রী অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ছোটপর্দার মাধ্যমে।
অর্থাৎ ধারাবাহিক জগতে প্রবেশের মাধ্যমেই এই অভিনেত্রীর অভিনয় জগতে পদার্পণ। স্টার জলসায় ধারাবাহিক করার মাধ্যমেই মানুষ তাঁকে চিনতে শুরু করে। তাঁকে দেখা যেত স্টার জলসার ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে তিনি কুপের চরিত্রে অভিনয় করতেন। এই চরিত্র তাঁর জীবনের মাইলস্টোন ছিল বলা চলে। এখন তিনি একজন সফল অভিনেত্রী বলা চলে। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সামলে চলেন রাজনীতি। রাজনৈতিক জীবনেও তিনি বেশ নাম করে ফেলেছেন। তাই আজ তাঁকে মানুষ সাংসদ হিসেবেও চেনেন।
মিমি চক্রবর্তী বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও তিনি আসলে উত্তরবঙ্গের মেয়ে। মিমির জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা উত্তরবঙ্গের। তিনি এবং তাঁর সাথে যারা কাজ করেছেন তারা সবাই বলেন যে, মিমি যথেষ্ট পরিশ্রমী। তবে এবারে একটি বিতর্কিত বিষয়ে আলোকপাত করলেন মিমি চক্রবর্তী। ‘খেলা যখন’- নামক একটি সিনেমাতে কাজ করার সুযোগ আসে মিমির কাছে। প্রায় চার বছর আগে এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু শুরুর দশ দিন পরেই শুটিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য পরিবর্তন হয়ে যায়। এর পরে কাস্টেও পরিবর্তন আসে। শেষ পর্যন্ত মিমি অরিন্দমকে বলেন, তিনি ফ্লোরে গেলেও এই ফিল্মের কাজের প্রতি তাঁর বিশ্বাস হবে না।
এই ‘খেলা যখন’-সিনেমার শুটিংয়ের কাজ শেষের গত বছর পরে অগস্ট মাসে এই ফিল্মটি মুক্তি পেল। এই ফিল্মটিতে মিমিকে মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। ‘পোস্ত’ সিনেমার পরে এই সিনেমাতে মিমিকে মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। মিমির কথায়, এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। এই জন্য তিনি প্রযোজকের কাছে কৃতজ্ঞ ।
মিমি চক্রবর্তী অরিন্দম শীলের সাথে প্রথম ‘ধনঞ্জয়’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন। এরপর অরিন্দম শীলের সাথে মিমি ‘খেলা যখন’ ফিল্মে কাজ করেছেন। মিমির কথায়, অরিন্দম শীল যথেষ্ট দেক্ষ এবং মেথডিক্যাল পরিচালক। এমনকি তিনি সেটে কোনোরকম চিৎকার করেন না বা বাড়তি শট নেন না। কিন্তু মিমির কাছে টাকার গুরুত্ব রয়েছে। মিমি বলেন, বর্তমানে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে মিমিকে সিনেমায় অভিনয় করানোর ক্ষমতা কোনও পরিচালকের নেই। মিমির বক্তব্য, টলি পাড়ায় নায়িকাদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তাতে সংসার চলে না কারুর। তাই ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের উপর তাঁর ভরসা রয়েছে।