প্রতিবাদী শিমূল! মুখের উপর জবাব দিল শিমূল, প্রকাশ্যে ‘কার কাছে কই মনের কথা’র দুর্ধর্ষ চমক

কিছুদিন আগে থেকে টেলিকাস্ট হওয়া শুরু হয়েছে জি বাংলার পর্দায় সদ্য নতুন ধারাবাহিক‘কার কাছে কই মনের কথা’। প্রথম দিন থেকেই নানান রকম বিতর্কে জড়িয়েছে মানালির এই সিরিয়াল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তা। বর্তমানে একেবারেই বদলে গিয়েছে এই সিরিয়ালের প্রেক্ষাপট। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়াচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’। অনেক মহিলাই বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন এই ধারাবাহিকের। নিত্যদিন নিয়ম করে যারা এই ধারাবাহিক দেখেন তারা জানেন যে, পাশের বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে শিমূলের শাশুড়ি তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শিমূলের মা এবং দাদাদের। স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পরাগ।

এমনকি ক্ষমা চাওয়ার জন্য নাকখত দিতে বলা হয়েছিল নায়িকাকে। এই ঘটনা মোটেই পছন্দ করেননি দর্শকরা। আর এসবের মাঝেই প্রকাশ্যে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের নয়া পর্ব। আগামী পর্বে দেখা যাবে, শিমূলের ওপর মানসিক অত্যাচারের কথা ইতিমধ্যেই জানতে পেরে গেছেন পারার অন্যান্য বউরা। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পরাগদের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বিপাশারা। যদিও তাদের কথা শোনাতে ছাড়লেনা পলাশ। পাল্টা অবশ্য দিয়েছেন তারাও। বিপাশা এক প্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘তোমার বউ প্রতীক্ষা বিয়ে করে আসার পরে আমাদের ক্লাবের মেম্বার হয়ে যাবে। নিজে থেকেই আসবে মেম্বার হওয়ার জন্য।

আমরা অবশ্য তাঁকে স্বাগত জানাব’। অপরদিকে, পাড়ার অনুষ্ঠানের রিহার্সালের জন্য শিমূলকে উপস্থিত থাকার কথা বলতেই শিমূল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আমি যাবো’। এই ঘটনা পৌঁছে যায় পরাগ-শিমূলের বেডরুম পর্যন্ত। স্ত্রীকে নানাভাবে শাসাতে থাকেন পরাগ। তবে সেও তো নাছোড়বান্দা। একপর্যায়ে এসে স্বামীকে তিনি স্পষ্টভাবে জানালেন, ‘ভালোবেসে আমাকে কোনো কথা বললে আমি অবশ্যই সেই কাজটা করে দেব। কিন্তু আমার ওপর যদি কেউ কর্তৃত্ব ফলাতে চায় তাহলে আমিও বাঁকাভাবে কাজ করব। এতো সহজে আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না। এখানে থেকেই আমি যা খুশি তাই করবো’। পরাগের এর জন্য শিমূলের চোখের আগুনে ভস্ম হয়ে যাওয়ার জোগাড়। পরবর্তী কালে কি হবে জানতে গেলে দেখতে হবে, এই ধারাবাহিক নেক্সট এপিসোডটি।