একবার নয়, দুবার তিনি লড়েছেন ক্যান্সারের সাথে। আবার সমস্ত লড়াইয়ে জিতে ফিরেও এসেছেন। কিন্তু শেষ লড়াইয়ে আর জেতা হল না তাঁর। ১ লা নভেম্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার নাগাদ কিছুটা সুস্থ হন তিনি। কিন্তু শনিবার রাতে ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। চিকিৎসকদের শেষ চেষ্টা বিফলে যায়। ভাগ্য যেন তাঁর সাথে বিরম্বনা করলো। মাত্র ২৪ বছর বয়সী ক্যান্সার জয়ী এক তরতাজা মেয়ে ঐন্দ্রিলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো।
যখন থেকে ঐন্দ্রিলা অসুস্থ, তখন থেকেই তাঁর মা-বাবা তো বটেই, একইসাথে তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) তাঁর পাশে থেকেছেন সবসময়। শেষ লড়াইয়েও পাশে ছিলেন তিনি। ঐন্দ্রিলার জীবনের শেষ কুড়ি দিনে নাওয়া-খাওয়া ভুলে সব্যসাচী শুধু ঐন্দ্রিলার সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি ঐন্দ্রিলার শারীরিক সুস্থতা বা অসুস্থতার সমস্ত খবর দিতেন তাঁর ফেসবুকের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে। গত শনিবার রাতে তিনি সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলেন। আর রবিবার মৃত্যুর পরে অ্যাকাউন্টটিই ডিলিট করে দেন।
তবে অনুরাগীদের জানতে চাওয়া, সব্যসাচী এখন কেমন আছেন? এর উত্তর দিয়েছেন অভিনেতা সৌরভ দাস। তিনি বলেন, “সব্য ভেঙে পড়েছে। কেমনই বা থাকবে এই পরিস্থিতিতে! ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। তবে সব্যকে বলেছি, এক ফোঁটা চোখের জল না ফেলতে। আজ ওকে সামলাতে হবে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে। সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবে না। কারণ ‘মিষ্টি’র কথাতেই ও লিখতে শুরু করে।”
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার সমস্ত খবর তিনি নিজেই অনুগামীদের সাথে ভাগ করে নিতেন স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। একইসাথে তিনি বলেন, যদি অনুরাগীদের মনে হয়ে থাকে যে, ফেসবুকে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচী আবার কিছু লিখবেন, তা একেবারেই ভুল। ২০১৭ সালের ঝুমুর ধারাবাহিকের সেটে আলাপ হয় দুজনের। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। ক্যান্সারের সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগের মুহূর্ত- সবসময় ঐন্দ্রিলার পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। তবে ফেসবুকে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কিছুই লিখবেন না সব্যসাচী চৌধুরী।