রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদ, সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে মিঠুনের দত্তক কন্যার জীবন কাহিনী

কোনোরকম গডফাদারের সহায়তা ছাড়াই শুধুমাত্র কর্মদক্ষতা ও প্রতিভা দ্বারা যিনি বাংলা ও হিন্দি টেলিভিশন জগতে নিজস্ব আসন তৈরি করে নিয়েছেন, তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৬ সালে প্রথম সিনেমা জগতে পা রাখেন মৃগয়া ছবির মাধ্যমে,যার পরিচালক ছিলেন বিখ্যাত মৃনাল সেন। এরপরে বহু উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে তিনি একটি নিজস্ব আসন তৈরি করে নিয়েছেন অভিনয় জগতে। প্রচুর হিট ও ব্যবসায়িকভাবে সফল সিনেমাতে কাজ করেছেন তিনি। বহু তাঁকে ডিস্কো ডান্সারও বলা হয়। এখন তাঁকে তুলনামূলক কম সিনেমাতে দেখা যায়। তবে স্টার জলসার ডান্স ডান্স জুনিয়রের মঞ্চে তাঁকে দেখা গেছিল কয়েকদিন আগে।

মিঠুন চক্রবর্তীর এক কন্যার নাম দিশানী চক্রবর্তী। এই কন্যাকে মিঠুন চক্রবর্তী ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে মানুষ করেছিলেন। এক সদ্যোজাত শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে গিয়েছিল কেউ বা কারা। কতগুলো কুকুরের পাহাড়াতে কেটেছিল সারা রাত। সেই শিশুকেই নিজ গৃহে নিয়ে এসে মেয়ের পরিচয় দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও আদুরের কন্যা দিশানী।মিঠুনের এই কন্যাই এবারে ডেবিউ করলেন থিয়েটারে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার সাথে সাথে অভিনয় চর্চা করে গেছেন। অভিনয়ের প্রতি তাঁর টান ছোট থেকেই। তাই অভিনয়কেই ক্যারিয়ার বানিয়ে এগোতে চেয়েছেন সবসময়।

View this post on Instagram

A post shared by Tolly media (@mediatolly)

অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই দিশানী লি স্ট্র‍্যাসবার্গ ইনস্টিটিউটে কেম্বারলি হ্যারিস পরিচালিত সেমিনারে অভিনয় করেছিলেন। এরপরেই দিশানীর অভিনয় প্রশংসিত হতে শুরু করেছে। এমনকি এই থিয়েটারটিও অত্যন্ত সমাদৃত হতে শুরু করে। শুধু তাই নয় শিল্পী আল পাচিনো দিশানীর অভিনয়ের প্রশংসা করেন এবং থিয়েটার আরোও কিছুদিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এটি দিশানীর সেরা পাওয়া ছিল।

অভিনয়কে তিনি শুধু পেশা বানাতে চাননি। এটি তাঁর নেশাও বটে। ২০১৭ সালে ‘হোলি স্মোক’ নামক একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেন তিনি,যেটি পরিচালনা করেছিলেন তাঁর দাদা উস্মেয় চক্রবর্তী। এই ফিল্মে তাঁর অভিনয় ভীষণভাবে প্রশংসিত হয় সবার কাছে। এছাড়াও ‘আন্ডারপাস’, ‘সুটেবল এশিয়ান ডেটিং উইথ পিএমবি’ নামের দুটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন দিশানী। এই ফিল্মগুলোতেও তাঁর অভিনয় ছিল প্রশংসনীয়। দিশানীর সবচেয়ে ভালোলাগার জায়গা থিয়েটার। আবার কিংবদন্তী আল পাচিনো-র সামনে পারফর্ম করার সুযোগ পাওয়াটাও তাঁর ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি চান যে আরোও ভালো করে থিয়েটারে কাজ করে তাঁর বাবা মিঠুন চক্রবর্তীকে খুশি করতে।

Back to top button