গৃহস্থের বাড়িতে সন্ধ্যের পর থেকে চলতে থাকে একের পর এক ধারাবাহিকের পালা। সম্প্রতি ‘জি বাংলা’ (Zee Bangla) -য় শুরু হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem phuler modhu) নামক ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন রুবেল দাস (Rubel Das) ও পল্লবী শর্মা (Pallabi Sharma)। তাঁদের চরিত্রের নাম যথাক্রমে সৃজন (Srijan) ও পর্ণা (Parna)। এই জুটি অল্প সময়ে দর্শকদের বেশ ভালো লেগেছে।
তবে জানা যাচ্ছে সিরিয়ালের শুটিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন সৃজন চরিত্রের অভিনেতা রুবেল দাস। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে আগামী দেড় মাস ছুটিতেই থাকতে হবে তাঁকে। নায়ক বিহীন সিরিয়াল! এই কথা ভেবেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছে দর্শকম মহলের। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ধারাবাহিকটি শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন কারণে ট্রোল হয়ে আসছে। প্রায়শই এই ধারাবাহিকটিকে তুমুল ট্রোলিং এর শিকার হতে হয়। তবে টিআরপি আনতে মাঝেমধ্যে এই ধরনের আজগুবি ঘটনা ইচ্ছা করেই সিরিয়ালে দেখানো হয়ে থাকে।
সিরিয়াল (Neem phuler modhu) ট্রোল হওয়ার সাথে সাথে টিআরপি বেড়ে যায়। এটাই হয়তো চাইছেন সিরিয়ালের নির্মাতারা। এই কারণেই হয়তো সম্প্রতি আবার এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন পর্না। পর্না (Parna) এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র। তাঁকে এখন ‘দত্ত বাড়ির জিনিয়াস বৌমা’ বলা হয়ে থাকে। আসলে সব ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে নিজের মতামত গছিয়ে দেওয়ার স্বভাবের কারণেই এমন নাম পেয়েছেন দর্শক মহলে।
বর্তমানে সিরিয়ালে (Neem phuler modhu) সৃজনের চাকরি চলে গেছে। তাই সৃজনের গুজরাট যাওয়া আটকাতেই নিজের গয়না বন্ধক রেখে টাকা এনেছে পর্না। সেই টাকা দিয়েই শাড়ির নতুন ব্যবসা খুলেছে সে। এরপর ছদ্মবেশ ধারণ করে ওই কোম্পানির কলকাতার হেড করেছে সৃজনকে। এখনো এই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই সৃজনের। নিজের ব্যক্তিগত জীবন সামলাতে কর্মজীবন খারাপ হয়ে যাচ্ছে পর্নার। বসের চোখে দিন দিন একজন খারাপ সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে সে। নিজের কাজে চূড়ান্ত অমনোযোগী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছে তার বস।
তাই আবার বসের মন জয় করতে অফিসের পেন্ডিং কাজ লিখতে বসেছিল পর্না (Parna)। রাত জেগে এই কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু ঘুম চলে আসায় বারবার নিজের কাজে বাধা পাচ্ছিল। এই কারণে বিদ্যাসাগরের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে জানলার ফিতের সাথে নিজের বিনুনি বেঁধে নেয়।
View this post on Instagram
পর্নার এরকম কাজে আবার ট্রোল হতে হচ্ছে তাকে। সোশ্যাল মিডিয়া অনেকেই লিখেছেন, ‘বিদ্যাসাগরের নাতনী’, আবার কেউ কেউ লিখেছেন ‘বিদ্যাসাগর এমন কাজ দেখলে নিজেই সব ভুলে যেতেন’। এই প্রথমবার পর্নার অদ্ভুত কাজে চলত হচ্ছে না তাকে। সিরিয়ালটি শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্নার (Parna) অদ্ভুত কাজের নমুনা দেখেছে দর্শক সমাজ।