বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। নিজের অভিনয় দক্ষতার কারণে মুম্বাইতেও বেশ নাম অর্জন হয়েছে তার। তবে বেশিরভাগ মানুষই তাকে দ্রৌপদী নামেই চেনেন। হিন্দি ধারাবাহিকের তালিকায় আজও বি আর চোপড়ার মহাভারত খ্যাতির শির্ষে রয়েছে। এই ধারাবাহিকটির সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। দেশের বড় বড় অভিনেতা অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছিলেন মহাভারতে। তবে আজও এই ধারাবাহিক এ সব থেকে বেশি ছাপ রেখে গাছের রুপা গঙ্গোপাধ্যায়। তার অভিনয় দক্ষতার কারণে দ্রৌপদীর চরিত্র পর্দায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল।
যেকোনো চরিত্র কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে গেলে সেই চরিত্রের ভিতরে প্রবেশ করা একান্তই প্রয়োজনীয়। আর তা খুব নিখুঁতভাবে করেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য ক্যামেরার সামনে উপস্থাপন করার পর নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি তিনি। জানা যায় শুটিং শেষেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। সেই সময় তাকে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছিল সকলের জন্য। এই প্রসঙ্গে একটি ইন্টারভিউতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “আমি এতটাই দ্রৌপদী চরিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলাম যে এই দৃশ্যের পর দ্রৌপদীর কষ্ট আমাকে ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল।”
সে সময় রূপাকে শান্ত করতে এগিয়ে যেতে হয়েছিল পরিচালককে। এমনকি তার পাশে ছিলেন অন্যান্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা। নিজেকে শান্ত করার পর আবার একজন প্রফেশনাল অভিনেত্রীর মত পরবর্তী অভিনয় করেছিলেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি দ্রৌপদীর বস্ত্র হরনের দৃশ্যে ২৫০মিটারের একটি শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। অবশ্য দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে রুপা গঙ্গোপাধ্যায় কে ভাবা হয়নি। এই চরিত্রের জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন জুহি চাওলা। সেই সময় জুহি চাওলা ব্যস্ত থাকায় রুপা গঙ্গোপাধ্যায় কে নেওয়া হয়।