বাড়ির ছাদেই এই পদ্ধতিতে শসা রোপন করলে হবে ব্যাপক ফলন, জানুন স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি

শসা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। যে-কোনো ছোট বড়ো রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে যে কারুর বাড়িতে শসা হয়ে থাকে। শসার মধ্যে থাকা উপাদান যেকোনো খাবারকে হজম করাতে সাহায্য করে। আর এই হজমের সমস্যা দূর হলে যেকোনো সমস্যা দূর হয়। এমনকি অতিরিক্ত মেদ, চর্বি কমাতে শসা ব্যবহার করা হয় খাবার সময়। যারা প্রপার ডায়েটে রয়েছেন তাদের রোজকার খাবার তালিকায় রয়েছে শসা।

এবারে বাড়িতে সহজেই শসার চাষ করতে পারবেন। প্রথমে বীজ নিয়ে এসে ১২ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মাটি তৈরির জন্য ৬০ ভাগ দোআঁশ মাটি ৪০ ভাগ শুকনো গোবর ও অল্প ছাই মিশিয়ে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে নিন। এবারে এই বীজতলায় বীজ পুঁতুন। এবারে পাটের ছালা বা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। ওপল দিয়ে জল ছিটিয়ে দিন। তিনদিন পরে দেখবেন বীজ গুলো থেকে নতুন অঙ্কুর বেরিয়েছে।

এবারে এগুলো পলি ব্যাগের মধ্যে দিয়ে দিন। এরপর ১৮”×১৮” টব নিয়ে একটি টবে ১-২ টি চারা রোপণ করুন। এরপর শসা চাষের মাটি তৈরি করতে হবে। এর জন্য টবের নীচে ২” পরিমাণ ইটের সূরকী দিন। এরপর মোট মাটির ২৫ ভাগ গোবর বা পাতা পচা সার ও ৭০ ভাগ দোআঁশ মাটি ও ৫ ভাগ ছাই মিশিয়ে টব ভর্তি করে দিন। এরপর মাটিতে ইউরিয়া সার ৫০ গ্ৰাম,টিএসপি ৩০ গ্ৰাম,এমওপি সার ২০ গ্ৰাম মিশিয়ে সার হিসেবে প্রয়োগ করুন।

কয়েকদিন পরে দেখবেন শসা গাছ বাড়তে শুরু করেছে। তবে শসা গাছের জন্য প্রচুর জল দরকার। তাই রোজ ২/৩ বার জল দিন। তবে গাছ বাড়তে শুরু করলে মাচা তৈরি করুন এবং শসার মাচায় পাখি বসার ব্যবস্থা করে দিন। কারণ পাখি ক্ষতিকর সব পোকা খেয়ে শসা গাছকে রক্ষা করে। মাঝে মাঝে নিমের তেল, গাঁদা ফুলের রস স্প্রে করতে পারেন কীটনাশক নষ্ট করার জন্য।