আবার ঘোষণা হলো নোট বন্দির। বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে ২০০০ টাকা। ২০১৬ সাল থেকে এই ২০০০ টাকার নোট ভারতীয় বাজারে প্রচলিত। ১০০০ টাকা বাতিল হওয়ার পর বাজারে এসেছিল এই দুই হাজার টাকার নোট। শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ শে মে এই সম্পর্কে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India)।
তবে স্বস্তির কথা হল এই নোট প্রত্যাহার করা হলেও, এখনই বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়নি। ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন মানুষ। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া -র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০০ টাকার নোট ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। এই নোট আর নতুন করে ছাপানো হবে না।
তবে বহু সময় হয়ে গেছে, এটিএম আর ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট দেখাই যায় না। সরকারি নির্দেশ চলে এসেছে এই নোট প্রত্যাহারের। তবে এবার মনে করা হচ্ছে আগের মত অসুবিধা হবে না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বাজারে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে ২০০০ টাকার নোট। এখনও পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোটই ছিল ভারতের সবথেকে বেশি মূল্যের মুদ্রা।
আরবিআই সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে অন্যান্য নোটগুলি যথেষ্ট পরিমাণে ব্যাংকে রয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া “ক্লিন নোট পলিসি” অনুসরণ করে ২০০০ টাকার ব্যাংক নোটের প্রত্যাহার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাধারণ মানুষকে ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা করতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজন মতো ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারবে ভারতীয়রা। যে কোনো রকম অসুবিধা এড়াতে আর ব্যাংক গুলির নিয়মিত কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে কথা মাথায় রেখেই ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা করার দিন শুরু হবে ২৩ শে মে। এই সময় থেকেই ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারবেন আবার বিনিময় করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
আর বি আই (RBI) -এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যান্য মূল্যের নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে উপলব্ধ হয়েছে বাজারে। তাই ২০০০ টাকার নোট চালু করার উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে। এখন বাজারে যে সমস্ত ব্যাংক নোটগুলি চালু রয়েছে সেগুলির মাত্র ১০.৮ শতাংশ হল ২০০০ টাকার নোট।