নিজের গান গাওয়া নিষিদ্ধ, তবুও ‘পুতুল’কে গান শেখাচ্ছে শিমুল! ফাঁস হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’-র নতুন প্রমো

জি বাংলায় (zee bangla) বেশ কিছু ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। যেগুলির মধ্যে থেকে এখন চর্চার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha)। সদ্য শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক প্রথম থেকেই লাইম লাইট -এ রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey) -র সফল কামব্যাক এই সিরিয়াল। এই সিরিয়ালের দৌলতে সর্বত্র চর্চায় রয়েছেন মানালি। কিন্তু ততধিক চর্চায় রয়েছেন আরেকজন অভিনেত্রী। তিনি কে জানেন?
তিনি হলেন ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের অন্যতম চরিত্র পুতুল (Putul)। এই পুতুল চরিত্রে অভিনয় করছেন বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য (Shreetama Bhattacharya)। গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে বউরা ভীষণ পছন্দ করছে এই গল্প। এখানে যেন তাদের কথাই বলা হয়। এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মানালি দে। তার চরিত্রের নাম শিমুল। প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হচ্ছে। মানালির শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন রিতা দত্ত চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন:নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ময়ূরী-নীলের বিয়ে দিল মেঘ! প্রকাশ্যে ফাঁস “ইচ্ছে পুতুল”র ধুন্ধুমার পর্ব
এই ধারাবাহিককে পুতুলের চরিত্র কে একটু বিশেষ রূপ দেওয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে পুতুল ছোটবেলা থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। বয়সের সাথে সাথে শারীরিক বিকাশ হলেও, মানসিক বিকাশ তার হয়নি। এই বিশেষভাবে সক্ষম পুতুল তথাকথিত সমাজের মানুষের কাছে ‘হাবলি’, ‘বোকা’ ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষিত হলেও, শিমুলের কাছে সে বড় আপনার।
এই সমাজের তথাকথিত সভ্য ও সুস্থ মানুষের দ্বৈত চেহারা ছিড়ে দিয়েছে পুতুল। কিন্তু এই পুতুল চরিত্রটি বাংলা ধারাবাহিকেরই অন্য আরেকটি চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। ভীষণ বিখ্যাত ছিল সেই চরিত্র। তাই তো তাকে আজও ভুলতে পারেননি বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকরা। সেই চরিত্রটি হল ‘জল নূপুর’ ধারাবাহিকের ‘পারি পাগলি’ (Pari Pagli)।
আরও পড়ুন:মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে শিমুলের হয়ে প্রতিবাদী পরাগ! পরাগের এই আচরণে খুশি দর্শকেরা
‘পারি পাগলী’ -র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Aadhya)। ২০১৩ সালে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হওয়া শুরু হয়েছিল ‘জল নুপুর’ ধারাবাহিকের। বেশ কয়েক বছর সফলভাবে সম্প্রচারিত হয় ধারাবাহিক। সেই চরিত্রের মতোই অভিনয় করছেন শ্রীতমা। এই কারণেই হয়তো অনেকে বলছেন, ‘পারি একজনই হয়, অপরাজিতার ধারে কাছেও নেই শ্রীতমা।’পুরো পারি পাগলীর কপি পেস্ট’। পুতুল চরিত্রে অভিনয় করে শ্রীতমা ভট্টাচার্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

প্রতিবাদ করার কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে অপমানিত করে মাঝরাতে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অবশ্য তার আগে পড়ার শিমুলের গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত যায়। সেই মুহূর্তে একমাত্র তার পাশে ছিল তার ননদ পুতুল। ‘স্বাভাবিক’ মানুষদের কাছে সে বোকা আর হাবলি হলেও, শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে একমাত্র তার মধ্যেই রয়েছে মানবিকতা। গরমে আর মশার মধ্যে শিমুলের সাথে বসেছিল সে।
এমন ননদকে ভালো না বেসে সত্যিই যায় না। দুজনের মধ্যে খুব ভালো ভাব হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে বারবার পাড়ার অনুষ্ঠানে তাঁকে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে খুব অশান্তি পর্যন্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পাড়ার অন্যান্য মেয়ে বউদের সাথে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অংশগ্রহণ করেছিল শিমুল। সেখানে পুতুলকে ও গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল সে। অনুষ্ঠানে পুতুলের গান শুনে শিমুল ঠিক করে নিয়েছে যেভাবেই হোক তাকে গান শেখাবে। পুতুলকে গান শিখিয়ে হয়তো শাশুড়ির মনে জায়গা করে নেবে। জানতে হলে আগামী পর্ব অবশ্যই দেখবেন।