বাংলা অভিনয় জগতে নীল (Neel) আর তৃণা (Trina) এক বিখ্যাত নাম। কিন্তু আপনারা কি জানেন কত টাকা রোজগার করেন এই জুটি? কেরিয়ারের প্রথমে কত টাকা বেতন পেতেন তাঁরা? কেন একসাথে কাজ করেন না তাঁরা? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে আজকের প্রতিবেদনটি ভালোভাবে পড়তে হবে।
একসময় টলিউড আর বাংলা সিরিয়ালের দূরত্বটা ছিল অনেক। এখন ধীরে ধীরে এই বৈষম্য কমে যাচ্ছে। টলিউডের বহু তারকা আজ নির্দ্বিধায় বাংলা সিরিয়ালে কাজ করছেন। আবার বাংলা সিরিয়ালের অনেক তারকা কাজ করছেন তো টলিউডে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, টলিউডের তুলনায় বাংলা সিরিয়ালে বেশি রোজগার হয়। আর এই কারনে অনেক নামিদামি তারকার বাংলা সিরিয়ালের জগতে কাজ করা শুরু করেছেন।
বর্তমান সময়ে বাংলা সিরিয়ালে নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya ) আর তৃনা সাহার (Trina Saha ) নাম বেশ বিখ্যাত। বেশ কয়েক বছর ধরে ছোটপর্দায় কাজ করে চলেছে এই জুটি। তাঁদের একসাথে পর্দায় দেখা না গেলেও, বাস্তব জীবনে তাঁরা স্বামী স্ত্রী। নীল ভট্টাচার্যের কেরিয়ার শুরু হয় স্টার জলসা -র ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। তারপর থেকে একটার পর একটা ধারাবাহিকে লিড রোলে কাজ করে চলেছেন তিনি।
কয়েক বছর আগেও বাঙালি মেয়েদের মধ্যে নীল ভট্টাচার্য কে নিয়ে বেস্ট ক্রেজ ছিল। যখন অনেকটাই কমে গেছে। সম্প্রতি তিনি জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’ আর ‘উমা’ ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন। এই দুটি ধারাবাহিককেও বেশ ভালই প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে তিনি স্টার জলসার ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিক লিড রোলে রয়েছেন। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই স্টার জলসায় কাম ব্যাক করেছেন নীল।
এদিক থেকে তৃণা সাহাও এগিয়ে রয়েছেন। বাংলা ধারাবাহিকের জগতে ‘খোকাবাবু’ ধারাবাহিককে তাঁকে প্রথম লিড রোলে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে একের পর এক লিড রোলে কাজ করে চলেছেন তিনি। ‘খোকাবাবু’ -র পর তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘কলের বউ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুন চরিত্রের মাধ্যমে। এই অভিনেত্রীকে বাংলা টেলি জগতে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘বালিঝড়’ ধারাবাহিকে। এই জুটির জনপ্রিয়তা কয়েক বছরের বেশ ভালই বেড়েছে। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বেড়েছে পারিশ্রমিক।
তাঁরা দুজনেই লাখ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পান। প্রতিটি ধারাবাহিকে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক পান নায়ক ও নায়িকা। ব্যতিক্রমি নয় নীল আর তৃণা। ২০১৪ সালে যখন নীল কেরিয়ার শুরু করেন তখন তিনি মাসিক বেতন পেতেন ২৫ হাজার টাকা। আর এখন তিনি মাসিক বেতন পান ৫ লাখ টাকা। অপরদিকে তৃণা ২০১৬ সালে মাসিক বেতন পেতেন ৩৫ হাজার টাকা। আর বর্তমানে বেতন পান ৩ লাখ টাকার বেশি।